করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এপ্রিলের শেষ দিন পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে অন্তত ১৫ বাংলাদেশির মৃত্যু ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে আবুধাবি দূতাবাস। করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত আরব আমিরাতে ১০৫ জন মারা গেছেন। অর্থাৎ দেশটিতে ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের ১৪ শতাংশেরও বেশি বাংলাদেশি।
বৃহস্পতিবার আবুধাবি দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর আবদুল আলীম মিয়া এ তথ্য জানিয়ে বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে আমিরাতে এ পর্যন্ত ৫০০-রও বেশি বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে দূতাবাসের কাছে ১০ জনের মতো সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার খবর রয়েছে।
তিনি জানান, দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত এক হাজার ৭০০ বাংলাদেশির মধ্যে ত্রাণ হিসেবে খাদ্যপণ্য বিতরণ করা হয়েছে। দূতাবাসের পরিকল্পনা রয়েছে আরও দুই হাজার বাংলাদেশির মধ্যে বিতরণ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
নিজস্ব নাগরিক ও অভিবাসীদের নিয়ে মাত্র ১ কোটি জনসংখ্যার দেশ আরব আমিরাতে এ পর্যন্ত ১২ লাখ মানুষের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে শ্রম কাউন্সেলর জানিয়েছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দুর্দশায় পড়েছেন শ্রমজীবী বাংলাদেশিরা। এসময় মানসিক চাপ সইতে না পেরে হৃদরোগে কিংবা স্ট্রোকের শিকার হয়ে আরও ২০ বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কাউন্সেলর আব্দুল আলীম।
আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “”আমরা অনুধাবন করতে পারছি যে পরিস্থিতির কারণে এখানে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা দেখা দেয়ায় অনেকের চাকুরি ও কর্মের সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে।”
“আমরা দূতাবাস ও সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ রক্ষা করছি যাতে এর ফলে শ্রমিক ছাঁটাই কিংবা কর্মী সীমিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশীরা মিনিমাম ক্ষতিগ্রস্ত হন। বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে আভ্যন্তরীণ ট্রান্সফার হতে পারে তার জন্য যোগাযোগ রক্ষা করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে পররাষ্ট্র ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় আমাদের নিয়মিত দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন ও প্রবাসীদের খোঁজখবর রাখছেন। তাদের পক্ষ থেকে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই যে বাংলাদেশ সরকার দূতাবাস কনস্যুলেট জেনারেল আপনাদের পাশে আছে।”
“ইতিমধ্যে দূতাবাস ও কনস্যুলেট এর মাধ্যমে সরকার যে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে তা দিয়ে দুর্গতদের জন্য আমরা ত্রাণ পরিচালনা করেছি এবং দ্বিতীয় দফায় সরকারের পক্ষ থেকে আরো বরাদ্দ আশা করছি যাতে কার্যক্রমকে আরো বেগবান করা যায়।”