বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে ডিবির পক্ষ থেকে ‘আত্মহত্যা’ বলার পর বুয়েট ক্যাম্পাসে কর্মসূচি দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। সেই কর্মসূচি প্রত্যাহার করে ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে আত্মহত্যার প্রমাণ চেয়েছিল তারা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে আজ দুই ঘণ্টা আলোচনার করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা ডিবির কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে কিছু অসঙ্গতির কথা বলেছেন। শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমকে বলেছ, ‘কিছু কিছু জায়গায় কিছু গ্যাপ আছে, কিছু অস্পষ্টতা আছে। এগুলো নিয়ে আরও পরিষ্কার হওয়ার দরকার।’
বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে গত ৪ নভেম্বর ঢাকার ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। ওই দিনই তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় জিডি করেন তাঁর বাবা কাজী নূর উদ্দিন। নিখোঁজের তিন দিন পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় ফারদিনের বাবা মামলা করেন। মামলায় ছেলের এক বন্ধুকে আসামি করেন। ওই মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন।