Header Border

ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল) ১৬.৫২°সে
শিরোনাম
জাতিসংঘে ড. ইউনূসের ভাষণ : শক্তিশালী অর্থনীতি এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য তানজিম হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে– নাহিদ ইসলাম গণহত্যা নিয়ে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলির সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক হোয়াইট হাউসের বিবৃতি, বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে সমর্থন অব্যাহত থাকবে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা অনুদান সীমান্ত হ/ত্যা/র ব্যাপারে কড়া প্রতিবাদ বিজিবির গণমাধ্যমকে ঢেলে সাজানো হবে- তথ্য উপদেষ্টা জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. ইউনূস, সম্পাদক মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য  অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী ইউজিসির নতুন সদস্য অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান ও ড. আনোয়ার হোসেন

জাতিসংঘে ড. ইউনূসের ভাষণ : শক্তিশালী অর্থনীতি এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য

‘অতীতের ভুলগুলোকে সংশোধন করে একটি প্রতিযোগিতামূলক ও শক্তিশালী অর্থনীতি এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই এই মুহূর্তে আমাদের মূল লক্ষ্য।’

আজ শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা  ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়ে বলেছেন, জনগণের কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রব্যবস্থা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে যে যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ আমি বিশ্ব সম্প্রদায়ের এ মহান সংসদে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমাদের গণমানুষের, বিশেষ করে তরুণসমাজের অফুরান শক্তি আমাদের বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল রূপান্তরের এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।’
‘ছাত্র–জনতা অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয়ের মাধ্যমে একটি স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি এনে দিয়েছেন।’ যোগ করেন নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ।
ড. ইউনূস বলেন, উদারনীতি, বহুত্ববাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর মানুষের গভীর বিশ্বাস থেকেই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় হয়। ১৯৭১ সালে যে মূল্যবোধকে বুকে ধারণ করে আমাদের গণমানুষ যুদ্ধ করেছিল, সেই মূল্যবোধকে বহু বছর পরে আমাদের ‘জেনারেশন জি’ নতুনভাবে দেখতে শিখিয়েছে। এ রকমটি আমরা দেখেছিলাম ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার সময়ও।
ড. ইউনূস বলেন, বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, সব রাজনৈতিক দল এখন স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারছে। যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় কাজ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত, তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করাও তাঁর সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের মৌলিক অধিকারকে সমুন্নত ও সুরক্ষিত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমাদের দেশের মানুষ মুক্তভাবে কথা বলবেন, ভয়ভীতি ছাড়া সমাবেশ করবেন, তাঁদের পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন, এটাই আমাদের লক্ষ্য। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংরক্ষণ এবং সাইবার ডোমেইনসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুসংহতকরণেও আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মাত্র সাত সপ্তাহের মধ্যে আমাদের সরকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বাংলাদেশের গণ-আন্দোলনকালে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বিস্তৃত অনুসন্ধান এবং এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে পরামর্শ প্রদানের জন্য একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন গঠন এবং তার কাজ শুরু করার জন্য দ্রুত বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাঁকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দায়িত্বভার গ্রহণের দুই সপ্তাহের মধ্যে আমরা গুম প্রতিরোধে যে আন্তর্জাতিক কনভেনশন রয়েছে, তাতে যোগদান করেছি। এর আশু বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় দেশীয় আইন ও বিধি প্রণয়ন বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে বিশ্ব নেতাদের সামনে সত্য উচ্চারণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি বলেন, বহুমুখী সংকটে জর্জরিত বর্তমান বিশ্বে যুদ্ধ এবং সংঘাতের ফলে ব্যাপকভিত্তিতে মানুষের অধিকার খর্ব হচ্ছে। ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে যে মানবতাবিরোধী অপরাধ হচ্ছে, তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়ী করতে হবে। ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর চলমান নৃশংসতা, বিশেষত নারী এবং শিশুদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যে নিষ্ঠুরতা বিশ্ব দেখছে, তা থেকে নিস্তারের জন্য বাংলাদেশ অবিলম্বে সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে।
প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশা রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন,  রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে স্বাধীন ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনধারণ করতে পারে, সে লক্ষ্যে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার। এ লক্ষ্যে রোহিঙ্গারা যাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করে তাদের নিজ ভূমি রাখাইনে ফিরে যেতে পারে, তার পথ সুগম করা দরকার। মিয়ানমারে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল অবস্থা বিবেচনায় রেখে, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একযোগে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করতে প্রস্তুত।
বক্তৃতার এক পর্যায়ে জাতিসংঘকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।  তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে, এ সম্মেলনের অর্জন বৈশ্বিক সমৃদ্ধির জন্য আমাদের সবার অভিপ্রায় ও সহযোগিতা কাঠামো প্রণয়নে দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

চীনে তৈরী সি-৯১৯ বিমানের ৫ লক্ষাধিক যাত্রী পরিবহন
তানজিম হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে– নাহিদ ইসলাম
গণহত্যা নিয়ে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলির সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক
হোয়াইট হাউসের বিবৃতি, বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে সমর্থন অব্যাহত থাকবে
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা অনুদান
সীমান্ত হ/ত্যা/র ব্যাপারে কড়া প্রতিবাদ বিজিবির

আরও খবর

ডিজাইন ও ডেভেলপঃ আবদুল্লাহ আল মাসুদ