বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আটঘরিয়া উপজেলার শাখার আয়োজনে বিভিন্ন গণমাধমে অসত্য ভিত্তিহীন উদ্দ্যেশেমূলক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে এক “সংবাদ সম্মেলন” গতকাল ২ মে পাবনা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগকে ক্ষতি করে বিএনপি জামায়াতকে প্রতিষ্ঠিত করছেন ক্ষমতাধর পিতা পুত্র ও কোণঠাসা দলীয় নেতাকর্মীরা শিরোনামে অনলাই পোর্টালে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।
মাজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য জাবেদ আলী স্বাক্ষরিত যে অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য দিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার বাবা আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। আওয়ামীলীগ দল করার কারণে ৭৫ এর পরে জিয়া সরকারের সময়ে আর্মি ক্যাম্পে আমার বাবাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। আমি দেবোত্তর ইউনিয়ন পরিষদের বার বার নিবার্চিত চেয়ারম্যান হয়েছি। দলীয় নৌকা মার্কা প্রতীক নিয়ে ২০১৬ সালে আটঘরিয়া পৌর সভা নিবার্চনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, শাহ আলম এক ব্যক্তি এলাকাতে মাদকের ব্যবসা করে এলাকার যুব সমাজকে ধবংস করছে। শাহ আলম একাধিক মামলার এজাহারভূক্ত আসামী। আশরাফুউজ্জামান জুয়েলের দলীয় কোনো পদ পদবী নেই। ২০১৪ সালে র্যাব জুয়েলকে অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করে এবং তার নামে অসংখ্য মামলা রয়েছে। সে একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী। উপজেলা সাব-রেজিষ্টার অফিস থেকে দলিল প্রতি ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়। যা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে জিজ্ঞাসা করা হলে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে অ্যাখায়িত করেন।
মেয়র আরও বলেন, আমার পৌর সভার নামে করোনা শুরু হতে অদ্যবধি পর্যন্ত ১০.২(দশ দশমিক দুই) মে:টন চাউল বরাদ্দ পেয়েছি। যা সরকারি কর্মকতার উপস্থিতিতে ১০২০ জন অসহায় ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আর চাউল উত্তোলন ও বিতরণের সাথে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কোনো সম্পর্ক নেই। আমার সন্তান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: তানভীর ইসলাম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। এবং বিবাহের কারণে কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহিত চাইলে তাকে অব্যাহিত দিয়ে উজ্জল ভবিষৎ কামনা করেন।