নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষার সময় পরিবর্তন করে ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। আর পরীক্ষা দিতে পারবে একেকটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী। যদিও এর আগের সিদ্ধান্ত ছিল ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে। আর তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল ২৯ ডিসেম্বর।
আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম শ্রেণি, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হচ্ছে নতুন শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শ্রেণিতেও তা বাস্তবায়ন করা হবে। যেখানে প্রথাগত পরীক্ষাকে কম গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ধারাবাহিক মূল্যায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। করোনার পাশাপাশি নতুন এ শিক্ষাক্রমের বিষয়টি মাথায় রেখে এ বছরসহ তিন বছর ধরে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। আগামী দিনেও আর এ পরীক্ষা হচ্ছে না বলেই জানিয়ে আসছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারকেরা।
কিন্তু গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় আকস্মিকভাবেই এ বছর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যদিও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বছরের শেষে এসে হঠাৎ প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া একদিকে শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন ক্ষতিকর বিষয় হবে, তেমনি নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ভবিষ্যৎ শিক্ষাব্যবস্থায় যে পরিবর্তন আসবে, তার জন্যও নেতিবাচক হবে।
জানা গেছে, ২৮ নভেম্বরের সভায় প্রথমে আলোচনা হয়েছিল ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের প্রতিটিতে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। উপজেলা সদরে এক দিনেই দুই ঘণ্টায় হবে এ পরীক্ষা। অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২৯ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচন থাকায় পরীক্ষার তারিখ এক দিন পেছানো হয়েছে। এখন ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা হবে।