বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ এডুকেশন স্ট্যাটিস্টিক্স প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। ২০২২ সালের প্রতিবেদন তৈরি করতে সারা দেশের প্রাথমিকোত্তর পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য চেয়েছে ব্যানবেইস। তবে ৫ নভেম্বর তথ্য দেওয়ার সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ৬৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য দেওয়া হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ইতিমধ্যে দেশের ৩৫ হাজার ৭৯৬টি প্রাথমিকোত্তর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৫ হাজার ১১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথ্য দিয়েছে। তবে ৬৮৪টি প্রতিষ্ঠান অদ্যাবধি তথ্য দেয়নি, যা মোটেও কাম্য নয়।
তথ্য প্রদানের গুরুত্ব জানিয়ে বলা হয়, এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেশি ও বিদেশি অংশীজন, ইউনেসকো, ইনস্টিটিউট ফর স্ট্যাটিস্টিক্স, হিউম্যান ক্যাপিটাল ইনডেক্স, ডেভলেপমেন্ট পার্টনার, অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স এগ্রিমেন্ট, এসডিজি ট্র্যাকার, অষ্ট পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় শিক্ষা তথ্য সরবরাহ করাসহ ব্যানবেইস থেকে বাংলাদেশ এডুকেশন স্ট্যাটিস্টিক্স শিরোনামে প্রতিবেদন তৈরি করা এবং এসডিজি-৪ বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়, যা শিক্ষার সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তথ্য না দেওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বর্তমান অবস্থা জানাতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানিয়েছে মাউশি। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের তথ্য ব্যানবেইসের ওয়েবসাইটে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ এ বিষয়ে মাউশিকে অবহিত করতে হবে।
#কালের কণ্ঠ