মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল অফিস ও সরকারি/বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি: প্রতিরোধের লক্ষ্যে কমিটি গঠন এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য তাগিদ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ‘লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কতিপয় অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে অদ্যাবধি কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি যা আদালত অবমাননার শামিল।’
এমতাবস্থায়, জরুরিভিত্তিতে এ বিষয়ে কমিটি গঠন এবং এবং তা বাস্তবায়নের জন্য নিম্নরূপ নির্দেশনা প্রদান করা হলো:
সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে উল্লিখিত বিষয়ে অভিযোগ গ্রহণ, তদন্ত পরিচালনা এবং সুপারিশ করার জন্য কর্তৃপক্ষ কমপক্ষে ৫ সদস্য বিশিষ্ট
একটি কমিটি গঠন করবে যার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য হবেন নারী। সম্ভব হলে কমিটির প্রধান হবেন নারী;
কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সৎ, দক্ষ এবং সক্রিয় সদস্যগণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে;
কমিটির দুইজন সদস্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে নিতে হবে, তবে এক্ষেত্রে জেন্ডার ও মানবাধিকার বিষয়ে যারা কাজ করে
তাদেরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে,
অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কমিটি অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখবে;
অভিযোগ গ্রহণকারী কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করবে। প্রয়োজনে (যদি উপযুক্ত কারণ থাকে)
কর্তৃপক্ষ এ সময়সীমা ৩০ কর্মদিবস থেকে ৬০ কর্মদিবস বাড়াতে পারবে,
• প্রতিষ্ঠানের সম্মুখে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ বক্স থাকবে।
আগামী ০৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে উল্লিখিত বিষয়ে কমিটি গঠন নিশ্চিত করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করাহবে।
অন্য কমিটি গঠনের তদারকির বিষয়টি মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাগণ নিশ্চিত করবেন।
এছাড়াও আঞ্চলিক পরিচালক এবং উপপরিচালক (মাধ্যমিক) তাঁর আওতাধীন যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিসে এ বিষয়ে এখনো কমিটি গঠন করেননি তাদের তালিকা তৈরি করে আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখের মধ্যে মাউশি অধিদপ্তর বরাবর হার্ড কপি এবং সফট কপি
Email: knd780709@gmail.com পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।