ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
চীনের সিনচিয়াংয়ে একটি কথা প্রচলিত আছে: আপনি যদি দিনে তিনটি কুল খান, তবে আপনার যৌবন দীর্ঘস্থায়ী হবে। কুলের পুষ্টিগুণ চীনে স্বীকৃত। কুলের স্যুপ যেমন চীনে জনপ্রিয়, তেমনি বিভিন্ন খাবারে কুলের ব্যবহার লক্ষ্যণীয়।
চীনা কুলের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। চীনা কুল ‘লাল জুজুব’ নামেও পরিচিত। প্রাচীনকাল থেকে চীনে ‘পাঁচ ফল’-এর তালিকায় কুল আছে স্বমহিমায়। কুল ভিটামিনসমৃদ্ধ। চীনে একে ‘প্রাকৃতিক ভিটামিন বড়ি’ বলেও ডাকা হয়। ক্লিনিকাল স্টাডিজ থেকে দেখা গেছে, যেসব রোগী বেশি বেশি কুল খায়, তাদের স্বাস্থ্য দ্রুত পুনরুদ্ধার হয়। কুলের গাছ খরা ও জলাবদ্ধতার মতো প্রতিকূল পরিবেশেও টিকে থাকে। একটি চীনের বিভিন্ন জায়গায় চাষ হয়।
সিনচিয়াংয়ের কুল খুবই সমৃদ্ধ। এর অনেক প্রজাতি আছে। যেমন: হামি কুল, কাশগর ছোট লাল কুল, হ্যথিয়ান কুল এবং রুওছিয়াং কুল, ইত্যাদি। সিনচিয়াংয়ের কুল পুষ্টিমূল্য ও ফার্মাকোলজিকাল প্রভাবের দিক থেকে চীনে শীর্ষে রয়েছে।
রুওছিয়াং কুলের ত্বক পাতলা, উজ্জ্বল। এটি খেতে নরম ও সুস্বাদু। মিষ্টতাও বেশি। রুওছিয়াং কাউন্টি দক্ষিণ সিনচিয়াংয়ের থাকলামাকান মরুভূমি ও খুনলুন পর্বতমালার মাঝখানে অবস্থিত। এটি পূর্বে কানসু ও ছিংহাই প্রদেশের সাথে সংযুক্ত। এর দক্ষিণে তিব্বত। এখানে দিন ও রাতের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পার্থক্য থাকে। এখানে উত্পন্ন কুলই রুওছিয়াং কুল। এতে আছে প্রোটিন, চর্বি, লিপিড, জৈব অ্যাসিড, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম। ফলে এটি বেশি পুষ্টিকর।
লেখিকা: ওয়াং হাইমান (ঊর্মি)
সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ
চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং চীন।