দুই লাখ করে টাকা পাচ্ছে দেশের ২ হাজার ২১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মেরামত, সংস্কার বা ছোট খাট কাজের জন্য এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এই অর্থ দেয়া হচ্ছে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায়।
বিদ্যালয় মেরামতের প্রাক্কলন উপজেলা শিক্ষা কমিটিতে অনুমোদন ব্যাতিত অর্থ ব্যয় করা যাবে না। চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে এই অর্থ
ব্যয় করতে বলা হয়েছে।
বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে বিদ্যালয় ভবন, ওয়াশব্লক এবং টয়লেটের ক্ষতিগ্রস্ত প্লাস্টার মেরামত, দরজা, জানালা, বেঞ্চ, চেয়ার, কলাপসিবল গেট, ছাদের সিলিং/আস্তর মেরামত, ভবনের ওয়াল, কলাম, বীম এবং ছাদের ফাটল, বিদ্যালয় ভবনের দরজা, জানালা রংকরণ, টাইলস (যদি থাকে), সিড়ির রেলিং, বিদ্যালয়ের গেট এবং ড্রেনেজ সিস্টেম মেরামত, ব্ল্যাক বোর্ড প্লাস্টারকরণ এবংরংকরণ, টয়লেট এর পাইপ, ড্রেন, বেসিন, কমোড, প্যান ইত্যাদি মেরামত/প্রতিস্থাপন, টিউবওয়েল এর প্লাটফর্ম মেরামত এবং টিউবওয়েলের যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন, বিদ্যালয় ভবনের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা (সুইচ, ওয়্যারিং, ফ্যান ইত্যাদি) মেরামত, বিদ্যালয়ের মাঠে মাটি ভরাটকরণ, বিদ্যালয় ভবনের নিরাপত্তার স্বার্থে যেকোন মেরামত, এছাড়াও বিদ্যালয়ের চাহিদাভিত্তিক অন্যান্য মেরামত করা যাবে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মেরামতের জন্য যে সকল কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে তা মেরামতের পূর্বে ছবি/ভিডিও করতে হবে এবং মেরামতের পর ছবি/ভিডিও করে রাখতে হবে এবং রেজিস্ট্রি করে সংরক্ষণ করতে হবে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি বিদ্যালয়ে কোন কোন খাতে মেরামতের অর্থ ব্যয় করেছেন তার তালিকা প্রস্তুত করে প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এর নিকট জমা দিবেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাদ্দ প্রাপ্ত বিদ্যালয়ের মেরামতের তালিকা সংগ্রহপূর্বক একত্রে প্রাক্কলন প্রস্তাব তৈরির জন্য উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) এর নিকট প্রেরণ করবেন। উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কর্তৃক প্রাক্কলন প্রস্তাব প্রস্তুতপূর্বক উপজেলা শিক্ষা অফিসার এর নিকট প্রেরণ করবেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রাক্কলন প্রস্তাব মহানগর/উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি’তে অনুমোদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
বরাদ্দপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে মেরামতের প্রয়োজন না থাকলে অথবা রাজস্বখাত থেকে বর্তমান অর্থবছরে বিদ্যালয়ে মেরামত বাবদ বরাদ্দ পেয়ে থাকলে অথবা এলজিইডি কর্তৃক মেজর মেরামতের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়া চলমান থাকলে বরাদ্দকৃত এ অর্থ ব্যয় করা যাবে না। এক্ষেত্রে বরাদ্দপ্রাপ্ত অর্থ সমর্পণ করতে হবে।
নিরীক্ষা (অডিট) এর জন্য বিল/ভাউচার ও প্রাক্কলন এর কপি উপজেলা শিক্ষা অফিসে সংরক্ষণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উক্ত বিল/ভাউচার ও প্রাক্কলন এর এক কপি নিজ বিদ্যালয়ে সংরক্ষণ করবেন।
অর্থ পাওয়া বিদ্যালয়গুলোর তালিকা দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন: