স্বাস্থ্য অধিদফতর ১৯৮৫ সালে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য যে ৫০০ টন ডিডিটি পেস্টিসাইড আমদানি করেছিল তা ছিল নিম্নমানের। পরিবেশ ও মানব দেহের জন্য এই পেস্টিসাইড ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হলেও তা অপসারণের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। এই সময়ের মধ্যে পেস্টিসাইড রক্ষণাবেক্ষণে যে চিকিৎসক ছিলেন তারও মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব।
অবশেষে সেই ৫০০ টন ডিডিটি পেস্টিসাইড অপসারণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ। রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেই কথাই জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
নিম্নমান বিবেচনায় আমদানি করা অব্যবহৃত বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক পেস্টিসাইড ডিডিটি স্বাস্থ্য অধিদফতরের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের মেডিক্যাল সাব-ডিপোতে মজুত রাখা হয়। উল্লিখিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পরবিশে, বন ও জলবায়ু পরর্বিতন মন্ত্রণালয় গ্লোবাল এনভাইরনমেন্ট ফেসিলিটির অর্থায়ন এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কারিগরি সহায়তায় পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পটির মাধ্যমে কর্মকর্তাদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও গত ১০ ডিসেম্বর এ বিষাক্ত পদার্থ সম্পূর্ণভাবে ফ্রান্সে রফতানি করা সম্ভব হয়।
এই রফতানির ফলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা সম্ভব হয়েছে। স্টকহোম কনভেনশন কর্তৃক নিষিদ্ধ পণ্য ডিডিটি রফতানির সঙ্গে বাংলাদেশের একটি আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূর্ণ হলো।’
বিস্তারিত ভিডিও লিঙ্কে: