কেশবপুরে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে স্কুলছাত্রীসহ ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।আহতরা স্থানীয় চিকিৎসা নিয়েছে।
জানা গেছে উপজেলার শিকারপুর পাত্রপাড়া গ্রামের মৃত ইনতাজ আলী সরদারের ছেলে ওজিয়ার রহমান সরদারের সাথে একই গ্রামের আমিন উদ্দীন সরদারের ছেলে আবু সাঈদ সরদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
এরই জের শুক্রবার ১২ টার দিকে আমিন উদ্দীন সরদারের ছেলে আবু সাঈদ সরদারের নেতৃত্বে জমির সরদারের ছেলে মামুন সরদার,জয়লান সরদার,তার ছেলে রুবেল সরদার,সাগর সরদার,আমির আলী সরদারের ছেলে আইলাল সরদার,মৃত মহাতাপ সরদারের ছেলে জামির সরদারসহ ৩/৪ জন মিলে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, দেশী দা হাতে ওজিয়ার রহমান সরদারের বসত বাড়িতে যেয়ে হামলা চালায়। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষরা ওজিয়ারের বসত ঘরে মধ্যে থেকে ধরে এনে বসত বাড়ির উঠানে এনে ওজিয়ার(৪৮) তার স্ত্রী নারগিস বেগম(৩৬) স্কুল পড়ুয়া মেয়ে শিরিনা খাতুন(১৪)কে পিটিয়ে আহত করাসহ নারগিস বেগমের কানের দুল ও নাকের নাখফুল জোপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। ওজিয়ার রহমান সরদার সাংবাদিকদের জানান, চলতি বছরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ও ২৫ ফেব্রুয়ারি আবু সাঈদ সরদারের নেতৃত্বে আমারসহ আমার পরিবাকে মাপিট করে আহত করেছিল। এ ঘটনায় আমার স্ত্রী নারগিস বেগম বাদি হয়ে চলতে বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি আবু সাঈদসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে যশোর বিজ্ঞ সিনিয়ার জুডিঃ ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত একটি মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া চলতে বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি স্ত্রী নারগিস বেগম বাদি হয়ে আবু সাঈদসহ ২ জনের বিরুদ্ধে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। আবু সাঈদ সরদারের বিরুদ্ধে রাজমিন্ত্রীর পরিচয়ের আড়ালে নারী ও শিশু পাচার,চুরি,ডাকাতিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগের প্রচুস্তি চলছে বলে ওজিয়ার রহমান সরদার জানান।
এ ব্যাপারে আবু সাঈদ সরদারের কাছে জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগের কথা স্কীকার করে সাংবাদিকদের বলেন,আমার নেতৃত্বে ওজিয়ার রহমান সরদারসহ তার পরিবারকে মারপিট করা হয়নি।