প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়ের সামনের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টঙ্গী-গাজীপুর রুটের ‘ক্ষণিকা’ বাসটি চলছিল উল্টো পথে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এই বাসের ধাক্কায় মোহাম্মদ আল আমিন টুটুল নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
২৪ বছর বয়সী টুটুল প্রথমে মারাত্মক আহত হন। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মালিবাগের একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় টুটুলের মৃত্যু হয়। নিহত টুটুল পাশ্ববর্তী বিজয় সরণির আওলাদ হোসেন মার্কেটের সিএসএল নামে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
তেজগাঁও থানার ডিউটি অফিসার ও সাব ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাসের চালক বজলুর রহমানকে তেজগাঁও থানা পুলিশ আটক করেছে জানা গেছে।
হাবিবুর রহমান বলেন, বাসটির ধাক্কায় ওই ব্যক্তি পায়ে ও মাথায় আঘাত পান। কয়েক হাসপাতাল ঘুরে মালিবাগ সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের আত্মীয়রা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ঢাবি ক্ষণিকা বাস কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাকিব হাসান একাধিক গণমাধ্যমকে বলেন, বিআরটিসির ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৬২০৩ নম্বরের দ্বিতল বাসটি ভাড়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহন করত। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল-টিএসসি- শাহবাগ-ইস্কাটন-মগবাজার ফ্লাইওভার-কাওরানবাজার-ফার্মগেট-বিজয় সরণি-পিএম অফিসের সামনের রুট ব্যবহার করছিল। অন্যান্য দিন এই রুটের বাসগুলো সাধারণত ৪০ মিনিটে মহাখালী পৌঁছে যায়। তবে অতিরিক্ত জ্যামের কারণে আজ (বৃহস্পতিবার) ফার্মগেট আসতেই ৫০ মিনিটের মতো লেগে যায়। এ কারণে ফার্মগেট পর্যন্ত আসার পরে ড্রাইভার উল্টো পথে যেতে শুরু করে এবং প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনের সড়কে ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও টুটুলের সহকর্মীরা মিলে প্রথমে তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। ঢামেকে আনা হলে কিছু টেস্ট করিয়ে আইসিইউতে রাখতে বলেন চিকিৎসক। কিন্তু ঢামেকে আইসিইউ খালি না থাকায় তাকে মালিবাগের সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
তারা আরও বলেন, বাসটি ফার্মগেট থেকে উল্টো পথে বিজয় সরণির দিকে এগোচ্ছিল। চালককে সতর্ক করা হলেও সে কারো কথা আমলে নেয়নি।